সুমাইয়া মোস্তাকিম (বগুড়া জেলা প্রতিনিধি)
বগুড়া জেলায় শিবগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক দাবি করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে সিহাব ও সাব্বির। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, যেখানে বাংলাদেশের কোথাও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক কমিটি বলে কিছু নেই, সেখানে উল্লেখিত দুইজন, সিহাব ও সাব্বির নিজেকে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক হিসাবে দাবি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে এখনো।
এমনকি তারা জানান বন্যাকবলিত মানুষদের নামে ত্রাণ সংগ্রহ করেও তারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছে। এবং শিবগঞ্জ উপজেলা মাঝিহট্ট ইউনিয়নে চালুন্জা কালিতলা হাই স্কুল এর ধর্মীয় শিক্ষক এর পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন এ নেমেছিলেন। এমতাবস্থায় শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিদের্শনায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সেখানে গেলে তাদের যাতায়াত খরচ ও খাবারের নাম করে প্রধান শিক্ষক এর নিকট হতে ৪৫০০ টাকা নেন সাব্বির। এর মধ্যে ১৫০০ টাকা খরচ হয় এবং বাকি টাকার হিসাব তারা দিতে পারেনা।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের নাম করে শিবগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টার কাছ থেকেও তিনি ১৮০০ টাকা নেন।এর কিছুদিন পর বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি অসুস্থ হওয়াতে তার নাম করেও চাঁদাবাজি করতে সিহাব ছাড়েনি এমন তথ্য দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী।
এসব সাক্ষী ও প্রমানের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ এর মতামত নিয়ে সিহাব ও সাব্বির কে উক্ত কমিটি থেকে বহিষ্কার করেন। এসব চাঁদাবাজির যথেষ্ট সাক্ষী ও প্রমান আছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উক্ত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের আইনগত শাস্তি দেওয়া হবে আশাবাদী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।