মাহমুদুল হাসান চৌহালী( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাসমানের একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা চলছে অস্থায়ী ভাবে। হাসপাতালটি নিজের পায়ে দাড়াক কর্তৃপক্ষের এমন জোরালো ভূমিকা নজরে না থাকায় সর্ব মহলে ক্ষোভের উদ্রেকই বেশি। চৌহালী উপজেলা পরিষদ এর জমিতে মাটি ভরাট শেষ, এখন ভবন নির্মাণ টেন্ডার আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। অথচ এক যুগও আলোর মুখ দেখছে না হাসপাতালটি।চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা একযুগ ধরে অস্থায়ী ভাবে চলছে।
গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে বিলিন হয়ে যায় হাসপাতাল, উপজেলা কমপ্লেক্স, থানা কমপ্লেক্সসহ সকল স্থাপনা। উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও খাষকাউলিয়া সিদ্দিকী ফাজিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে মাদরাসার জমিতে আশ্রয় নেয় স্বাস্থ্যসেবা দপ্তর। সর্তসাপেক্ষে জায়গার উপর দের কোটি টাকা ব্যায়ে সেমিপাকা টিনসেট ঘর উত্তোলন করা হয় সরকারের অর্থায়নে।
অস্থায়ী ঘরে ডাক্তার নার্স ইনডোর আউটডোর হলরুম গুডাউন, কোয়ার্টার ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব জমি ও ভবন না থাকায় সেবার মান নিম্নমুখী।
উপজেলা পরিষদের জন্য কোদালিয়া গ্রামে ভূমি নির্বাচন, ভূমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাট প্রায় শেষ, যেকোন সময়ে ভবনের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।
উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হচ্ছে, থানা কমপ্লেক্স হবে এর পাশেই হাসপাতালের জমি চিহ্নিত করে ভুমি অধিগ্রহণ ও ভবন নির্মাণ করা হলে বারবে সেবার মান।
রোগীদের জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাগবের দাবি ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক কৃষক সকল পেশাজীবি মানুষ ও সরকারি দপ্তরের।
ভাসমানে স্বাস্থ্যসেবা বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে তবুও ভবন নির্মাণের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের প্রশাসনিক সহ সকল কর্মকান্ড।
হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, থানা সহ সকল স্থাপনা একই স্থানে জমি ও ভবন নির্মান করা হলে ভারবে সেবামূলক কার্যক্রম, বাঁচবে সময় কমবে ভোগান্তি দাবি জনগণের।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকতা রাফসান রেজা বলেন, হাসপাতালটি নদী গর্বে চলে গেছে, অস্থায়ী ভাবে অন্যের জায়গায় আমাদের বসতি তাই সেবা ও দাপ্তরিক কাজ নিয়ে কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার নার্স স্টাফ সহ মানুষের কষ্ট লাগবে নিজস্ব জমি ও ভবনের দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এর পাশেই হাসপাতাল, এর প্রস্তাব ও অগ্রগতি বাস্তবায়ন হবে খুব দ্রুতই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান জানান- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে নিজস্ব জমির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন হবে।