নিউজ ডেস্ক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, লেখক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন।
স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সাম্য, ন্যায়বিচার, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, মানবতা, নিপীড়ণের বিরুদ্ধে এক আপোষহীন সংগ্রামী পুরুষ। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনীর ছিল ক্ষুরধার।
তিনি বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজয়ী। কাজী নজরুল ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন সহ্য করেও তাঁকে সত্য উচ্চারণ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। রাজরোষে পড়া সত্বেও সত্য ও সুন্দর সৃষ্টির প্রয়াস থেকে তিনি কখনোই সরে আসেননি। তাঁর সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত।
সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি। নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য—চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেন। অন্তর্গত সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।
তাঁর লেখনি সকল স্বৈরাচারের জন্য আতঙ্ক হয়ে থাকবে। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’? তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তাঁর লেখনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধে ব্যাপক অনুপ্রেরণ যুগিয়েছিল। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
এছাড়াও তাঁর প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্রময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে, যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর।
তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।