শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া মহিপুর কুয়াকাটা বুদ্ধ মন্দিরে আজকের ধর্ম ধর্মলম্বীদের বড় উৎসব পালিত করে
বুদ্ধ পূর্ণিমার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি? জানুন ব্রত, স্নান-দানের তারিখ ও মাহাত্ম্য, আজ পূর্ণিমা। বৈদিক পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৩ মে পালিত হচ্ছে বৈশাখ বা বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথি।
এ দিন স্নান-দান করা হবে। তবে যাঁরা চন্দ্র অর্ঘ্য দেন ও ব্রত পালন করেন তাঁরা ২২ মে পূর্ণিমা পালন করবেন। উল্লেখ্য বৈশাখ পূর্ণিমা তিথিটি বুদ্ধদেবের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এর মাসে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই তিথি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এই তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ।
এ কারণে এই দিনটিকে বুদ্ধ জয়ন্তী বলা হয়ে থাকে। এ বছর ২৩ মে বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বুদ্ধ পূর্ণিমায় বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিনটি জ্ঞান প্রাপ্তির দিন হিসেবে চিহ্নিত। এই তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেন বিষ্ণুর নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ।
পুরাণ অনুযায়ী বৈশাখ পূর্ণিমায় গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। আবার এই তিথিতেই বুদ্ধত্ব জ্ঞান লাভ করেন তিনি। গৃহত্যাগের পর রাজকুমার সিদ্ধার্থ সত্যের সন্ধানে সাত বছর পর্যন্ত বনে ঘুরতে থাকেন।
কঠোর তপস্যা করেন, অবশেষে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে বোধগয়ায় বোধি বৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব জ্ঞান লাভ করেন। কথিত আথে যে জ্ঞান লাভের পর বুদ্ধ পায়েস খেয়ে নিজের ব্রতভঙ্গ করেন।
তাই বুদ্ধ পূর্ণিমায় পায়েস রান্না করা হয়। বুদ্ধকে পায়েসের প্রসাদ নিবেদন করা হয়। শুধু তাই নয়, বৈশাখ পূর্ণিমায় কুশীনগরে বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ হয়।