মোঃ রাজু মিয়া সোহাগ (নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি)
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড (উচা বদি) ফজলু মেম্বার পাড়ায় পূর্বের জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভ্যানচালক শফিকুল ইসলামকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করেন লেবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১ টার সময় শফিকুল ইসলাম রোজগারের জন্য তার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ইতিমধ্যে শফিকুল মিয়ার রাস্তা অবরোধ করেন লেবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। লেবু মিয়ার হুকুমে তার পরিবারের লোকজন শফিকুল ইসলামকে হঠাৎ আক্রমণ করেন এবং লাঠি দিয়ে শফিকুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন লেবু মিয়ার পরিবারের লোকজন। লেবু মিয়া শফিকুল ইসলামকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শফিকুল ইসলামের মুখের মধ্যে একটি সজরে ঘুসি মারেন এতে শফিকুল ইসলামের একটি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে এবং একটি দাঁত নড়ে যায়। মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় শফিকুল ইসলাম চিল্লান দিয়ে মাটিতে পড়ে যান।
এমতাবস্থায় লেবু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া হত্যা করার উদ্দেশ্যে সজোরে দুই হাত দিয়ে শফিকুল ইসলামের গলা চেপে ধরেন। এতে শফিকুল ইসলামের শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সুমন মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যান তখন রাস্তা দিয়ে চলার পথে সাইফুল ইসলাম এবং আজহারুল ইসলাম ঘটনাটি নিজ চোখে দেখে ঘটনাস্থান থেকে শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে তার জামাই হানিফ মিয়াকে ফোন করে নিয়ে আসেন।
তখন হানিফ মিয়া তার শশুর শফিকুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। শফিকুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কিশোরগঞ্জ মেডিকেলের ডাক্তাররা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে জানা যায় লেবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকেরা দীর্ঘদিন থেকে শফিকুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ডাংমার ও মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে আসতেছে।
শফিকুল ইসলাম শশুরের বাসায় থাকার কারণে তাদের সাথে কুলে উঠতে পারেনা। আত্মসম্মানের ভয়ে তিনি ঝগড়াঝাটিতে যাননা। শফিকুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর এখন আর বাসায় থাকতে পারেননা। লেবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকেরা শফিকুল ইসলামকে মারার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন যায়গায়। শফিকুল ইসলাম এর মেয়ে সূর্যিনা বেগম ভূমি খেকো দস্যু লেবু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।