মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু (নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি)
সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আজ জন্মতিথি, শুভ জন্মাষ্টমী। দ্বাপর যুগের শেষ দিকে এই মহাপূণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দী দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার ২৬ শে আগষ্ট বাংলাদেশ পুজা উদযাপণ পরিষদ বদল গাছী উপজেলা শাখার আয়োজনে ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমীর মিছিল বের করা হয়। বদল গাছীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বদল গাছী কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে এসে আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের বদল গাছী উপজেলা শাখার সহ সভাপতি রুপশ্রী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বদল গাছী উপজেলা শাখার সাঃ সম্পাদক তপন কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের বদল গাছী উপজেলা শাখার সাঃ সম্পাদক বাসুদেব সাহা। আরও উপস্থিত ছিলেন, রতন কুমার সাহা,অলক কুমার মুস্তফী, তন্ময় কুমার মুস্তফী সহ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসাধারণ। রাতে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীকৃষ্ণপূজা।
বক্তাগন তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন কি ভাবে শ্রীকৃষ্ণে আবির্ভাব হয়। এ-সম্পর্কে তাঁরা বলেন, সনাতন ধর্মানুসারে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতেই এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শান্তিদাতা শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয়গ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদগীতার উদগাতা শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগের বিশৃঙ্খল ও অবক্ষয়িত মূল্যবোধের সময়ে পৃথিবীতে মানবপ্রেমের অমিত বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার মিলনই সেই বাণীর মূল বিষয়। তাই তিনি ভক্ত ও বিশ্বাসীদের কাছে প্রেমাবতার।
ঐতিহাসিকদের বিবেচনায় খ্রিষ্টপূর্ব ৯০০-১০০০ সালে সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের অবির্ভাব ঘটে। তার জন্মের সময় এই বিশ্বব্রহ্মা- পাপ ও অরাজকতায় পরিপূর্ণ ছিল। তাই মানব জাতিকে রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শ্রীকৃষ্ণ মানব জাতির কাছে জীবন ধারণের অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন। শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমগ্র বিশ্বকে আলোড়িত করছে হাজার হাজার বছর ধরে। শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা হলো- সংঘর্ষ ও অন্যায়কে পরাভূত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এই পবিত্র দিনে সকল অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে অন্তর আত্মাকে জাগ্রত করার শপথ নিতে হবে।