মোঃ সোহাগ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করেন না ফজলুল ইসলাম। গবেষণার প্রতিটি দেওয়ালে তার অনিয়মের ছাপ লেগেছে। এমন মন্তব্য করছিলেন রাজশাহীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারি। কিছুদিন ধরেই রাজশাহীর ধান গবেষনার প্রধান ফজলুল ইসলামের নানা অনিয়মের অভিযোগ আসছিল সাংবাদিকদের নিকট।
অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে আশ্চর্য জনক সব কিছু উঠে আসে প্রতিবেদকের হাতে। প্রবেশ দারে আমপাড়া হচ্ছিল। এই আম কোন ধরনের টেন্ডার অথবা বিক্রিকরা হয়েছে কিনা , এমন প্রশ্নের উত্তরে আম পাড়া ব্যক্তিরা জানান ধান গবেষনার প্রধান ডিজি স্যার কে দিতে ফজলুল ইসলাম স্যার আম পাড়তে বলেছেন। সাংবাদিক দেখে ফজলুল ইসলাম ঘটনা স্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। গবেষণার ভেতরে প্রবেশ করে দেখাযায় কয়েক বছর ধরে তিনি সরকারি রেস্ট হাউজ ব্যবহার করছেন নাম মাত্র এন্টি দিয়ে। তার পরিচিত লোকজন রাজশাহীতে এলে রেস্ট হাউজে ঠান্ডা রুমের ব্যবস্থা করেদেন।
সরকারি গাছ ও গাছের ডাল কেটে সরকারি ইট দিয়ে তার অফিসের পেছনে দুটি রুম করে দিয়ে দিব্বি ভাড়া তুলছেন।
এখানেই থেমে নেই তার দুর্নীতি আর অনিয়ম। কিছুদিন আগে রাতের আধারে ধান গবেষণার মালামাল ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে বাহিরে বিক্রি হয়েছিল ফজলুল ইসলামের নির্দেশে। পরে বিষয়টি জানা জানি ও ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটলে সেই মালামাল ফেরত নিয়ে আসেন ফজলুল ইসলাম। মালামাল ফেরতের সেই ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।
গবেষনার ভেতরে কিছুদিন পুর্বে নতুন ভাবে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে সেই রাস্তা কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অথবা কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি নোটিশ ছাড়াই করেছেন ফজলুল ইসলাম। সুত্র বলছে সেই রাস্তা তৈরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা লোপাট করা হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে ধান গবেষণার প্রধান ফটক নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে । সূত্র বলছে সেখানে গাজীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাতা কলমে থাকলেও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেই কাজ করছেন ফজলুল ইসলাম নিজেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মচারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধান গবেষণার প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা কাটায় অনিয়ম। প্রজেক্টের অযুহাতে অনিয়ম। বীজ লেন দেনে নয় ছয় সব অভিযোগ রয়েছে এই গবেষণা প্রধান ফজলুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ধান গবেষণায় কর্মরত গাজীপুর প্রধান অফিসের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি সময়ে গাজিপুরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি নির্মান করছেন ফজলুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী অফিস ফাঁকি দিয়ে হেড অফিসে কাজ রয়েছে এমন নানা অযুহাত দেখিয়ে এখন বাড়ি নির্মানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পারকরছেন। তিনি আরো বলেন ফজলুল ইসলাম নিজের ক্ষমতা জানান দিতে অনিয়ম ঢাকতে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তার নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে থাকেন।
ফজলুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠা নানা অভিযোগের বিষয় নিয়ে তাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে ফোনে কথা হয়না প্রতিবেদককে সামনে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন। আম দেওয়া সহ নানা অভিযোগের বিষয় নিয়ে জানতে বাংলাদেশ ধান গবেষনার প্রধান ডিজিকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলব। ধান গবেষনার ডিজির একজন নিকটস্থ সূত্র বলেন ফজলুল ইসলামের চাকরি আর অল্প কিছুদিন রয়েছে তাই তিনি একেবারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার অনিয়ম নিয়ে হেড অফিস বেশ ক্ষিপ্ত।
রাজশাহী ধান গবেষনায় কর্মরত একজন শ্রমিক জানান, পূর্বে ফজলুল ইসলামের নানা অনিয়ম নিয়ে মানব বন্ধন পর্যন্ত হয়েছে এই অফিসে তার পরেও তিনি বহাল রয়েছেন। সূত্র বলছে এবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অভিযোগ যাচ্ছে।