বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন আলোকদিয়া ইউনিয়নের রক্তিপাড়া গ্রামে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শামসুল আবিদ শিমুলের বাড়িতে গাড়ি পার্কিং করা টিনের গ্যারেজে সুপরিকল্পিত ভাবে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারণে বাদীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোনিয়া জানান, গত সোমবার (৩ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কে বা কাহারা আমাদের গাড়ি রাখার টিনশেড গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই মধুপুর থানার টহল পুলিশ আগুন জ্বলতে দেখে আমাদেরকে ডেকে তুলে।
আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে দেখতে পাই আমার বাসা সংলগ্ন গাড়ি রাখার গ্যারেজে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সাথে সাথে টহল পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ সময় টহল পুলিশ বাসার লোকজনকে ডেকে না উঠালে বাসায় ঘুমিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শিমুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান সিহা (২২) ও সাফা(১২) এবং তার নাতি সিহার মেয়ে এ্যামিলি বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতো।
এই দুর্ঘটনার খবর শোনার পর শামসুল আবিদ শিমুলের বড় ভাই সামছুল কবির বাদল স্ট্রোক করে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে বলে জানান পরিবারের লোকজন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ মধুপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খঃ মোতালিব হোসেনের দুই ভাগিনা একই এলাকার রক্তিপাড়া গ্রামের ইউনুসের ছেলে মাফিজুর (৩৫) ও তার ছোট ভাই সেলিম(৩০)এর সাথে শামসুল আবিদ শিমুলের বড় ভাই মুকুলের বাকবিতন্ডা হয়।
এরই জের ধরে মাফিজুর গং আগুন লাগাতে পারে এমনটাই ধারণা করছেন এবং ঘটনা স্থলে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে বলেও ভুক্তভোগী পরিবার জানান। ঘটনার দুইদিন আগে মাফিজুর তার বাহিনী নিয়ে প্রবাসীর ভাই মুকুলের বাড়িতে গিয়ে মুকুলকে না পেয়ে মুকুলের বড় ভাই বাদল ও ছোট ভাই বিপুলকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় গ্যারেজে আগুন দেয়ার ঘটনায় এরাই জড়িত বলে প্রবাসীর পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন।
এই ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তারা।
উক্ত ঘটনায় শামসুল আবিদ শিমুলের স্ত্রী সোনিয়া শারমিন বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।