বাবুল রানা (টাঙ্গাইল প্রতিনিধি)
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন বিপ্রবাড়ি এলাকায় খড়ের গাদা ও গোয়াল ঘর সহ অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের দেওয়া আগুনে সাত মাসের গাভিন গরুর ৮০ভাগ শরীর পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮জুন) রাত দেড়টার দিকে পৌরসভার বিপ্রবাড়ি গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত্যু আমান আলীর ছেলে আক্তার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন জানান, আমি রাতে গোয়াল ঘরে ঢুকে আমার ৩টি গরুর ২টি ছেড়ে রাখি এবং ৭মাসের গাভিন গরুটি বেধে রেখে মশারী টানিয়ে শোয়ার ঘরে চলে যাই।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে লোকজনের ডাকাডাকিতে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আমার খড়ের পালায় এবং গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে।
তিনি আরও জানান, আমার ২টি গরু বাঁধন ছাড়া থাকায় আগুনের তাপে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু ৭মাসের গাভিন গরুটি বেধে রাখায় তার ৮০ভাগ শরীর পুড়ে ঝলসে গেছে।
কি কারনে আগুন লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কিছু দিন আগে আমার লাউয়ের বাগানের লক্ষাধিক টাকার লাউসহ লাউগাছ দুষ্কৃতকারীরা মাটির নিচ দিয়ে কেটে মেরে ফেলে।
আমার ধারনা এবারেও সেই র্দুবৃত্তরা আমার খড়ের পালায় ও গরুর গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ১লিটারের ২টি সেভেনআপের বোতল পড়ে থাকতে দেখি এবং সে বোতল দুটিতে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যায়। যেকারণে আমার এবং এলাকাবাসীর ধারনা, সুপরিকল্পিত ভাবে কেরোসিন ঢেলে খড়ের গাদা ও গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে র্দুবৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শী আঃ করিম জানান, গোয়াল ঘরের সাথেই আমার ঘর থাকায় রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ শরীরে প্রচন্ড তাপ অনুভব করি এবং ঘর থেকে বেরিয়ে খড়ের গাদা ও গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার করতে থাকি।
আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পাশাপাশি স্থাপন করা ৩টি পানির মটর দিয়ে ১ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকলে পুরো এলাকার বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যেতো বলে জানান তিনি।
এ ধরনের দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে তা নাহলে এলাকায় এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতেই থাকবে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারে আতংক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সম্বলিত ভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এর সু্ষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।