আবু মোঃ শোয়েব ডন (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি)
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন রিতু (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রী। রিতু ১নং দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। (২১শে অক্টোবর) সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে পাশেই ২ নং ঘাটাইল ইউনিয়নের উত্তর শাহপুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র জুয়েল রানার সাথে, বিয়ের প্রস্তাব আসে রিতুর সঙ্গে।
রিতুকে দেখতে এসে পরিবারের পছন্দ হলে রিতুর নাকে নাকফুল পরিয়ে বিয়ে ঠিক করে যান জুয়েলের পরিবার। সময় সুযোগ বুঝে মেয়েকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উঠিয়ে নিবেন এমন কথাও পাকাপাকি হয় দুই পক্ষের সাথে। কথা হয় বড় ছেলেকে বিয়ে করানোর পরেই ছোট ভাই জুয়েলকে দিয়ে রিতুকে বধু হিসাবে বরন করে নিবেন। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছরের অধিক সময় কেটে গেলেও রিতুকে আর বধু হিসাবে উঠিয়ে নেয়নী জুয়েলের পরিবার। পারিবারিক ভাবে বিয়ের কথা পাকা-পাকি হওয়ায়, দু জনের মাঝে মোবাইলে যোগাযোগ ও মেয়ের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিলো লম্পট ছেলে জুয়েলের।
আসা যাওয়ার মাঝেই জুয়েলের সাথে হঠাৎ একদিন পরিচয় হয় মেয়ের বান্ধবী মিতুর সাথে। কৌশলে মোবাইল নাম্বারও সংগ্রহ করে মিতুর। মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে কথা শুরু করেন লম্পট জুয়েল ও নিহত রিতুর বান্ধবী মিতুর সাথে। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক্য শুরু হয় দুজনার সাথে। আস্তে আস্তে মিতুর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। লম্পট জুয়েল রিতুর সাথে বাগদক্তার কথা ভুলে গিয়ে মিতুর প্রতি আসক্ত হয়ে পরে। কৌশলে দুইজনকে একত্র করে কয়েক দিন আগে মিতুকে দিয়ে নিহত রিতুকে অপমান অপদস্ত করার ঘটনা ঘটে। জুয়েল রিতুর সাথে এমন ঘটনা সইতে না পেরে বুকভরা ব্যাথা ও কষ্ট নিয়ে নিজের বাড়িতে এসে ২/৩ দিন না খেয়ে থেকে বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করে রিতু।
দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সুজাত আলী খান বলেন, মেয়েটি বাবা, মা হারা এতিম। ভাইয়ের সংসারে থেকে কোন রকমে পড়ালেখা করে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে। এমন নেক্কার জনক ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি। এ ব্যপারে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি আত্নহত্যা করেছেন সঠিক। কেন কি কারনে আত্নহত্যা করেছে ময়না তদন্তের পর সঠিক কারন জানা যাবে।