নিউজ বাংলা ডেস্কঃ
মানহানির পাঁচ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট’র (সিএমএম) আদালত।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে কটুক্তি ও বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ এবং ৩টি মানহানীর মামলা।
রায় শেষে এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, চার বছর আগে মামলার বাদী মৃত্যুবরণ করায় খালাস পেয়েছেন বেগম জিয়া। এছাড়া সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে ১৪ মে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার নয় নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ জুন দিন ধার্যও করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য সাত আসামি হলেন-তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।