মো: মাহমুদুল হাসান,নাগরপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলা ঐতিহ্যবাহী ভাবড়া উমেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ৮৫-৮৬ ব্যাচের শতাধিক বন্ধুদের নিয়ে বন্ধু পূর্ণমিলর্নী ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বন্ধুত্ব শুধুমাত্র একটা সম্পর্ক নয়, এটা একটা নিরব প্রতিশ্রতি, আমি ছিলাম আমি আছি এবং থাকবো, বন্ধু পুনর্মিলন ২০২৪ এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৫-৮৬ ভারড়া উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্ধু পুনমিলনী।
আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার ভারড়া উমেচ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে অতিথিদের আসন গ্রহণ,অতিথি ও বন্ধুদের ফুল দিয়ে বরণ,লগু সম্ভলিত ট্রি শার্ট ও ব্যাচ পরিধান, কোরআন তেলয়াত,গীতাপাঠ, ৮৫-৮৬ ব্যাচের যে সকল বন্ধু ও শিক্ষক মন্ডলীরা মৃত্যু বরণ করেছে সেই সকল বন্ধুদের স্মরণে এক মিনিট দাড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ৮৫ -৮৬ ব্যাচ ও অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো, রতন কবির কর্তৃক স্বাগত ভাষণ,
অতিথিদের ভাষণ শেষে দুপুরের খাবার বিতরণ, প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ সব শেষ বিখ্যাত শিল্পীর মনোঞ্চ সাংস্মৃতিক অনুষ্ঠান।
সৌহার্দ সম্প্রীতি কল্যাণ সমৃদ্ধির আয়োজনে পুনমির্লনী কমিটির আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল কবির রতন সভাপতিত্বে করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারড়া উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,ভারড়া উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবু চন্দ্রকান্ত দাস,ভারড়া উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মুছা, ভারড়া উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মো, শহিদুল ইসলাম।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে – উত্তরা ব্যাংকের জিএম আঃ খালেক, এস আই আবু তালেব, জেলা প্রাণিসম্পদ ডা, রফিকুল ইসলাম, জামান ইন্ডাট্রিজের কাজল, আঃ কাদের, আকব মিয়া, হুমায়ন কবির তালুকদার, তোফাজ্জল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন,আছমা, এলি, পতিত সেন্টু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আলহাজ আব্দুল মজিদ বলেন, ১৯৮৫-৮৬ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘআয়ু কামনা করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ৩৯বছর পর বন্ধুদের পেয়ে সকলেই আনন্দে মেতে উঠে।এছাড়া শৈশবের বহু স্মৃতির কথা প্রিয় বন্ধুদের পেয়ে মনে পড়ে যায় এক আলোচনায় ইকবাল কবির রতন স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন দীর্ঘ ৩৯ বছর পর বন্ধুদের পেয়ে অত্যান্ত ভালো লাগছে। স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করে বহু বন্ধুর সাথে আর দেখা হয় নাই আজ সবাইকে পেয়ে সত্যি আমার ভালো লাগছে। আমাদের প্রত্যেক বন্ধুর বয়স ৫০ থেকে ৬৫ বছর পার হয়ে গেছে।
কারও কারও মেয়ে ছেলে বিবাহ করিয়ে নাতী পুতির মুখ দেখেছে আবার কারো কারো ছেলে মেয়ে কলেজ ইনভারসির্টিতে লেখা পড়া করছে আর এত দিন পর একারিত্র হতে পরে আমি নিজেকে সুভাগ্যবান মনে করছি। দোয়া করি প্রতিটি বন্ধু কর্ম ও সংসার জীবনে ভালো ও সুখে থাক এই প্রার্থনা করিছি আল্লাহ্’র কাছে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন নাগরপুর উপজেলার মধ্যে ভারড়া উমেচ চন্দ্র বিদ্যালয় একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
শিক্ষার জন্য এসো সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও তারই আলোকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সচিব, কলেজের অধ্যক্ষ, পুলিশ অফিসার, এনজিও ম্যানেজার, প্রবাসী, গুনি শিল্পী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক,সরকারি চাকরি সহ বহু শিক্ষক ও গুনিজন রয়েছে এই ব্যাচে।
এছাড়া এই গ্রামটি শষ্য শ্যামলায় ভরপুর। তাই এই গ্রামের নাম শত শত বছর ধরে গুনান্তিত।