আবু মোঃ শোয়েব ডন (টাংগাইল প্রতিনিধি)
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কদমতলী হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা ও ৭ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী বিচারের দাবী জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার কদমতলী হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম সোহরাব আলীকে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি স্কুলের ক্লাশে পড়ার ছলে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ ও অশ্লীল কথা বলেন। ঐ স্কুলের এক শিক্ষিকাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বিভিন্ন সময় অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায় যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে ঐ স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান শুধু আমি একা না, আরও একাধিক শিক্ষার্থী ঐ ধর্মীও শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। জানতে চাইলে ৭ম শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থী জানান ধর্মীয় শিক্ষক সোহরাব আলী স্যার আমাদের সাথে বাজে আচরণ করে এবং অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এমনকি মাঝে মধ্যেই শরীরের স্পর্শ কাতর জায়গায় স্পর্শ করে যা আমাদের অনেক খারাপ লাগে।
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে ঐ স্কুলের শিক্ষিকা জানান শুধু আমরা শিক্ষিকা বা কতিপয় শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার নই আরও একাধিক শিক্ষার্থী ঐ ধর্মীও শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানি শিকার হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষক সোহরাব আলী নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক আছে তারাই শিক্ষার্থীদের সব কথা শিখিয়ে দিয়েছে।
যৌন হয়রানীর বিষয়ে কদমতলী হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার ধর্মীয় শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিধি অনুযায়ী প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষক কতৃক শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকা যৌন হয়রানি বিষয়ে হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরতিজা হাসান মুঠোফোনে জানান যৌন হয়রানি বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনা সত্য হলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।