আলামিন হক বিজয় দুর্গাপুর(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা ১ নং নওপাড়া ইউনিয়নের কথিত সমাজ সেবক মোঃ মেহেদী হাসান মিলন ওরফে মিলন শাহ এমন প্রশ্ন থেকে মিলন শাহ্ পরিচয় খুঁজতে গেলে উঠে আসে নানা তথ্য ও অনিয়মের অভিযোগ।
অভিযুক্ত মিলন শাহ আলহাজ্ব হাসেন শাহ এর ছেলে। নওপাড়া, দুর্গাপুর, রাজশাহী জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
তিনি ২০১৩ সালে ব্যাংক এশিয়া, রাজশাহী শাখা হইতে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে অবৈধ ভাবে ধানি জমি খনন করে পুকুর ব্যবসা শুরু করেন । পরবর্তী সেই লোন কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সময় মত লোন পরিশোধ না করা এবং কৃষকদের জমির টাকা না দিয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়ান।
২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনের পর তিনি সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কোন এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে গড়ে তোলেন দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য। হয়ে যান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর আবারো হয়ে যান বিএনপির কথিত নেতা এবং নিজেকে বিভিন্ন মহলে পরিচয় দেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসেবে।
অভিযোগ রয়েছে তিনি নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিতে পেশি শক্তি ব্যবহার করেছিলেন। গত ৭ই জানুয়ারি । স্কুল চলাকালীন সময়ে তার পিতা ও চাচা দল বল নিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেনের অফিস রুমে প্রবেশ করেন । সেই সময় তারা প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং এক পর্যায়ে তার শরীরে হাত তোলার ও অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রথমে স্কুল পরিচালনা কমেটির বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন এবং তাঁর পরামর্শ ক্রমে পরবর্তীতে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন । যার সত্যতা পাওয়া যায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভিযোগ তদন্ত কারি কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে স্কুল পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত শিক্ষক ও জনগণের সামনে মন্তব্য করেন মিলন শাহ্ সভাপতি না হতেই এহেন নেক্কার জনক কর্মকাণ্ড করেন তাহলে সভাপতি হলে কি করবেন !!
এলাকাবাসি, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি এমন ব্যক্তি যেনো কোন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা সদস্য হতে না পারে ।
পরবর্তীতে এই মিলন শাহ্ ডার্চ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং ও ধান সিঁড়ি রাজ বিডি নামক এনজিও এর দুর্নীতির আরো তথ্য দেশ বাসীর সামনে তুলে ধরা হবে । কি ভাবে মিলন শাহ্ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।