মোঃ সোহাগ আলী রাজশাহী
সরকারি দপ্তরের আম লিজ না দিয়ে সেই আম ডিজিকে দিতে হবে এমন প্রচার চালিয়ে সরকারি গাছের আম পেড়ে নিলেন রাজশাহী ধানগবেষনার প্রধান ড. ফজলুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘ সময় রাজশাহীতে থাকা কালিন সময়ে পুর্বেও নানা অনিয়মে জড়িয়েছেন।
সুত্র বলছে বিনা নোটিশে ধান গবেষনার ভেতরের গাছ কর্তন, বিনা টেন্ডারে গবেষনার ভেতরে কয়েক লক্ষ টাকার রাস্তা সংস্কার, রাতের আধারে ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে সরকারি মালামাল বাহিরে পাচার, সরকারি টিন ও কাঠ দিয়ে ভেতরে কয়েকটি ঘর নির্মান সবই হয়েছে গবেষনার প্রধান ফজলুল ইসলামের নির্দেশে। রাজশাহী ধান গবেষনার একাধিক সুত্র বলছে ফজলুল ইসলাম সরকারি কোন নিয়ম তোয়াক্কা করেন না। তিনি একজন সেনা বাহীনির অফিসারের দোহাই দিয়ে দিব্বি অনিয়ম করে চলেছেন।
তার দুর্নীতি আর অনিয়ম নিয়ে কোন স্টাফ কথা বলতে গেলে তাকে হয়রানী হতে হয় ফজলুল ইসলামের নানা কৌশলে। পুর্বে ধান গবেষনায় কর্মরত সকল স্টাফ ফজলুল ইসলামের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে অফিস চত্তরে মানব বন্ধন করেও কোন সুফল মিলেনি। উল্টো ফজলুল ইসলাম তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি সময়ে গাজিপুরে ফজলুল ইসলাম তৈরি করছেন কয়েক কোটি টাকা মুল্যের বাড়ি। তার নবনির্মিত বাড়ির বিষয় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করেছেন একটি নির্ভর যোগ্য সুত্র।
গতকাল ফজলুল ইসলামের এমন অনিয়মের বিষয় নিয়ে রাজশাহী ধান গবেষনার প্রধান ফটকে গেলে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। গবেষনার প্রধান গেইট নির্মান হচ্ছে সেখানে নিম্ন মানের সিমেন্ট ও বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট গাজিপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতদের এমন নিম্ন মানের কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন ফজলুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কাজ করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ফজলুল ইসলাম স্যার অলিখিত ভাবে কাজটি নিয়েছেন তাই তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হচ্ছে। গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে আরেক চিত্র। গবেষনার ভেতরের সরকারি গাছগুলো থেকে আমপাড়া হচ্ছে। আম গুলো কোন প্রকার টেন্ডার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমপাড়া ব্যক্তিরা জানান ফজলুল ইসলাম স্যার বলেছেন ২০ মন আম গাজিপুরে ডিজি স্যারের নিকট পাঠাতে হবে। তারা বলেন ডিজি স্যারকে দিতেই আমগুলো পাড়া হচ্ছে।
তাদের মুখে এমন কথা শুনে রাজশাহী ধান গবেষনার প্রধান ফজলুল ইসলামকে মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি সংবাদ চলমান কে বলেন এসবের মধ্যে বাড়ি আসছে কেন। তিনি মুঠো ফোনে না বলে সামনে আসার দাওয়াত দেন। ডিজির নিকট আম পাঠানোর বিষয়ের সত্যতা নিয়ে জানতে ধান গবেষনার ডিজিকে ফোন করলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি এসব নিয়ে পরে কথা বলব।