মোঃ রাজু মিয়া সোহাগ নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ১১নং কৈমারী ইউনিয়ন এর চেংমাড়িতে মনিরুদ্দিন ও মর্নুজা বেগম দম্পত্তি ৬ মেয়ে সন্তানের জনক।তাদের ছেলে সন্তান না থাকায় তারা পূর্ব খুটামারার মফিজউদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলীর সাথে তাদের বড় মেয়ে মর্নুজাকে বিয়ে দেন ও ঘরজামাই করেন।আইয়ুব আলী সুযোগ বুঝে শশুরের সাথে প্রতারনা করে বাস্তুভিটা সহ আবাদি কিছু জমি লিখে নিয়ে শশুর শাশুড়ী কে বাসা থেকে বের করে দেন।তখন মনিরুদ্দিন আলাদা যায়গায় বসত বাড়ি স্হাপন করেন।
এতেও ঘরজামাই আইয়ুব আলী খ্যান্ত হননি, সে বিভিন্ন ভাবে তার শশুর শাশুড়ী সহ তার ৫ শালীকে নির্যাতন করে আসতেছেন।গত ১০/১১/২০২৪ ইং রোজ রবিবার মনিরুদ্দিন তার জমির ধান কেটে বাসায় আনেন।ও তার ২ টি মেয়েকে খবর দিয়ে আনেন ধান মারাইয়ে সহযোগিতা করার জন্য ১৪/১১/২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে আইয়ুব আলী ও তার স্ত্রী মর্নুজা বেগম ও তার ২ ছেলে হঠাৎ মনিরুদ্দিনের জমিতে আইল কাটতে যায়।তখন তার শশুর ও শাশুড়ী বাঁধা দেওয়ায় তাদেরকে এলোপাতাড়ি মেরে যখম করেন।তাদের চিৎকার শুনে তাদের ২ মেয়ে সেখানে আসেন।তখন আইয়ুব আলী ও তার স্ত্রী মর্নুজা বেগম ও তার ২ ছেলে সিয়াম ও সায়েম রড ও শাফল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধোর করে গুরুতর জখম করেন। মারধোর ও চিল্লচিল্লি শুনে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন এবং মারামারি বন্ধ করান।এতে মনিরুদ্দিনের স্ত্রী ও ২ মেয়ে গুরুতর যখম হন। এই খবর শুনে মনিরুদ্দিনের নাতি আলমগীর হোসেন এসে তাদেরকে মেডিকেলে ভর্তি করেন।
সংবাদকর্মীরা এ বিষয় টি এলাকাবাসীর কাছে ও ভুক্তভোগীর আত্মীয় স্বজনের কাছে জানতে পারে, মনিরুদ্দিনের ঘরজামাই আইয়ুবের কাছে তারা লাঞ্চনার শিকার অনেক আগ থেকে।আইয়ুব আলী সবসময় তার শশুর শাশুড়ী ও ৫ শালীকে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করেন।এমনকি মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি দেখান।তখন বৃদ্ধ মনিরুদ্দিন ও তার স্ত্রী সহ ৫ মেয়ে আইনের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার দাবী করেন