1. admin@newsbanglanb.com : admin :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে - নিউজ বাংলা NB
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভর্তি চলছে ভর্তি চলছে বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মধুপুরে সার- বীজ-কীটনাশক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে জরিমানা। বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান প্রশংসনীয়। ঘাটাইলে বিএনপির বিশাল জনসভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর রংপুর আগমনে পাগলাপীরে পথসভা ধনবাড়ীতে ১৭ পিছ ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারী গ্রেফতার। দেলদুয়ারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের অর্থ সহায়তা প্রদান। আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফাউন্ডেশন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী ( রংপুর প্রতিনিধি)
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭৭ বার পঠিত

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী ( রংপুর প্রতিনিধি)

এক সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় একমাত্র বাহন ছিল গরু কিংবা মহিষের গাড়ি। রংপুর বিভাগের মানুষ ধান-চাল, পাটসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন আর রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলা (রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম) জেলার বাথান (গো-চারণ ভূমি) ও পাথার (নিচু জমি) আগের মতো আর মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে না।

এখন মহিষের গাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে- শ্যালোইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত ভটভটি, করিমন, নছিমন, অটোভ্যান, পিকাপভ্যানসহ নানা যান্ত্রিক পরিবহন। ফলে বিল, বাথান পাথার উত্তরবঙ্গ এলাকায় গরু মহিষের গাড়ি আর চোখে পড়েনা তেমন। মাঝে মধ্যে ২-১ টা দেখা গেলেও তা আসে অন্য কোনো স্থান থেকে। ফলে রংপুর বিভাগে মহিষের গাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষের গাড়িয়াল বলেন, আগে সারা বছর গাড়ি চালাতাম। এখন শুধু মাঝে মাঝে ডাক পড়লে কাজ করি। আর সারা বছর বেকার বসে থাকি। এখন সবাই ভটভটি, করিমন, নছিমন দিয়ে এ কাজ করায়। ফলে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। এতে আমরা চরম অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছি। অন্য পেশা বেছে নিচ্ছি।

কৃষকরা বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনে খরচ বেশি। তাছাড়া যে সকল স্থানে যান্ত্রিক পরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সেখানে মহিষের গাড়ি সহজে ব্যবহার করা যায়। ফলে এখনও ২-১ টি মহিষের গাড়ী এ অঞ্চলে দেখা যায়। হয়তো এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহনটা আর চোখে পড়বে না।

লালমনিরহাট, কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি বর্মণ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহনে কৃষিপণ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সহজে পরিবহন করা যায়। তাই এই এলাকা থেকে মহিষের গাড়ি, গরুর গাড়ি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যারা এখন এ পেশা বদলায়নি, তারা বাপ-দাদার পেশা হিসেবে ধরে রেখে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

লালমনিরহাট ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি বলেন, গ্রাম বাংলার চিরায়ত এ ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ির চাহিদা এখনও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই যে সকল মশিয়ালরা এখনও টিকে আছেন তাদের বিভিন্ন সরকারি পরিবহন কাজে ব্যবহার করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেমন- উপজেলা সদরের গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ, ভিজিডির চাল পরিবহন, সরকারি ঠিকাদারি মালামাল গন্তব্যে পৌঁছানোসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করা সম্ভব। তাই সরকার এ দিকে দৃষ্টি দেবে বলে জোর দাবী করেন তিনি।
আমার সোনার বাংলা চাই। ধর্ম বর্ণ জাত জাতি বড়ো নই,
বড়ো হলো তুমি ভাই মানুষ আমি মানুষ। আর জানতে হবে স্রষ্ঠাকে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ