আ: রহিম রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার, ৫ নং খলেয়া ইউনিয়নের নিকটে বটতলা নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস ও যাত্রীবাহী সিএনজি দুটি পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক মোঃ ভ্যালসা মিয়া (৩৪) এবং প্রভাষিকা দিবা রানী সরকার (৩৫) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের গার্ড মেহেরুল ইসলাম নামের একজন আনসার সদস্য নিহত ৩ জন ও দুটি পরিবহনের ১৭ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সিএনজি’র ৪ যাত্রী ও বাসের হেল্পার এই ৫ জন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের শারিরীক অবস্থা খুবই আংশকাজনক।
৮ জুন ২০২৪ইং রোজ শনিবার আনুমানিক সকাল ১১টায় পাগলাপীর ডালিয়া বুড়িমারী সড়কের খলেয়া ইউনিয়নের, গঞ্জিপুরের বটতলার দক্ষিন খলেয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সামনে এ মর্মান্তিক দূঘর্টনাটি ঘটেছে। নিহতরা হলেন সিএনজি চালক ভ্যালসা মিয়া, গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন বেতগাড়ীর খাটারী গ্রামের খয়বার ব্যাপারির পুত্র এবং সিএনজি’র যাত্রী দিবা রানী সরকার- নীলফামারী জেলার সরকারি কিশোরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষিকা এবং শিব সংকরের সহধর্মিনী তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ জানান দূঘর্টনার স্বীকার সিএনজি গাড়িটি ৪ জন যাত্রী নিয়ে পাগলাপীর হতে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে উক্ত স্থানে গঞ্জিপুরগামী একটি রিক্সা ভ্যানকে ওভারটেক করে যাওয়ার পথে ডিমলা জলঢাকা হতে ছিড়ে আসা রংপুরগামী ঢাকা মেট্রো-জ-০৪-০১৫৯ নম্বরের যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাত্রী প্রভাষিকার মৃত্যু হয়।
এদিকে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনার পর প্রায় ঘন্টা খানেক যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
পরে হাইওয়ে তারাগঞ্জ থানা ও রংপুর সদর থানা ট্রাফিক পুলিশ এর হস্তক্ষেপে পুনরায় যানবাহন চলাচর স্বাভাবিক হয়।