1. admin@newsbanglanb.com : admin :
কৈমারীতে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (Christmas day )উৎযাপন। - নিউজ বাংলা NB
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁর বদলগাছীতে বিয়ে ছাড়াই কিশোরীর সন্তান প্রসব নিয়ে এলাকায় তোলপাড় গঙ্গাচড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে শীতবস্ত্র প্রদান জলঢাকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। কৈমারীতে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (Christmas day )উৎযাপন। চৌহালীতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকতে চান– মেজর মামুন  মধুপুরে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার অপরাধে ৫০হাজার টাকা জরিমানা নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী মহাসড়কে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ডায়ার মিল স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন  কালিয়াকৈরে পুলিশের জমি আত্মসাদ,গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরেও আসামী ধরা-ছোয়ার বাহিরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ৪টি সেতুর অভাবে  দক্ষিণ অঞ্চল অচল হয়ে পড়েছে।

কৈমারীতে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (Christmas day )উৎযাপন।

মোঃরাজু মিয়া সোহাগ রংপুর ব্যুরো প্রধানঃ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯ বার পঠিত

কৈমারীতে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব
বড়দিন (Christmas day )উৎযাপন।

মোঃরাজু মিয়া সোহাগ রংপুর ব্যুরো প্রধানঃ

জলঢাকার কৈমারী ঋষি পাড়ায় বুধবার(২৫ই ডিসেম্বর)২০২৪খ্রিঃ বড়দিন (Christmas day) পালন করেন পাস্টর দয়াল ঋষি।

যা প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর পালন করা হয়।এটি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে পরিচিত, যিনি খ্রিস্টধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বরের পুত্র।

বড়দিনের সঙ্গে জড়িত আছে ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য, যা এই উৎসবকে সারাবিশ্বে বিশেষ মর্যাদা দেয়।

যিশুখ্রিস্টের জন্মের তাৎপর্য ২৫ ডিসেম্বর তারিখ নির্বাচন বড়দিন উদযাপনের ঐতিহ্য বড়দিনের সর্বজনীনতা বড়দিনের মূল বার্তা।
যিশুখ্রিস্টের জন্মের তাৎপর্য বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী, যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেম শহরে কুমারী মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।

খ্রিস্টান বিশ্বাস অনুযায়ী, যিশু মানবজাতির পাপের মুক্তির জন্য ঈশ্বরের পাঠানো ত্রাণকর্তা।

তাঁর জন্ম সাধারণ মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে।
যদিও যিশুর প্রকৃত জন্ম তারিখ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, চতুর্থ শতাব্দীতে রোমান ক্যাথলিক চার্চ ২৫ ডিসেম্বরকে তাঁর জন্মদিন হিসেবে নির্ধারণ করে।

২৫ ডিসেম্বরকে- যিশুর জন্মদিন হিসেবে নির্ধারণের পিছনে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কারণ রয়েছে। রোমান সাম্রাজ্যে শীতকালীন অয়নকালের (Winter Solstice) কাছাকাছি সময়ে “সোলইনভিকটাস” (অপরাজেয় সূর্য) উৎসব পালিত হতো।

এই উৎসবের সঙ্গে নতুন আলো ও জীবনের ধারণা জড়িত ছিল।
যিশুকে “জগতের আলো” হিসেবে বিবেচনা করে এই তারিখে তাঁর জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়।

বড়দিন উদযাপনেরঃ ঐতিহ্য। বড়দিন মূলত একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও এর সঙ্গে বহু সংস্কৃতিগত অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে।

বড়দিনের দিন খ্রিস্টানরা গির্জায় প্রার্থনা করে, বাইবেল পাঠ করে এবং যিশুর জন্মকাহিনি স্মরণ করে। এছাড়া ঘর সাজানো, ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন, উপহার বিনিময় এবং বিশেষ খাবার তৈরির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।

বড়দিনের সর্বজনীনতা যদিও বড়দিন খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব, এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য আনন্দ ও উদযাপনের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের অনেক দেশে এটি সরকারি ছুটির দিন এবং পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়।

বড়দিনের মূল বার্তা

বড়দিন মূলত ভালোবাসা, শান্তি, এবং মানবতার বার্তা বহন করে।
যিশুর জীবনের মাধ্যমে মানুষকে ক্ষমা, দয়া এবং আত্মত্যাগের শিক্ষা দেওয়া হয়।

এই উৎসব একদিকে ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে, অন্যদিকে এটি সবাইকে একত্রিত হওয়ার এবং সুখ-শান্তির বার্তা দেওয়ার অনন্য উদাহরণ।

২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন যিশুখ্রিস্টের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।

এই উৎসবের গুরুত্ব শুধুমাত্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং এটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, ঐক্য এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।

বড়দিনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঘরে সাজসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন আলো, এবং উপহারের আদান-প্রদান শুরু হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এক আনন্দময় উষ্ণতার ছোঁয়া। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হল মানবজাতির প্রতি করুণা, ত্যাগ ও বন্ধনের মূল্যবোধকে উদযাপন করা।

তাই বড়দিনের আগমন প্রতিটি হৃদয়ে নতুন আশা ও ভালোবাসার দিগন্ত উন্মোচিত করে।অবশেষে সংবাদকর্মীদের পাস্টর দয়াল ঋষি বলেন, আমরা ভালোবাবে দিবসটি পালন করতে পেরে আনন্দিত।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ