মোঃ সোহাগ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আতাহার নাম এখন রাজশাহীর দুর্গাপুর অঞ্চলের আতংক। তবে পুলিশ হিসেবে নয় , কালো অর্থ আর সম্পদের মালিক হিসেবেই তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। অনেকেই তাকে আন্ডার ওয়াল্ডের বস হিসেবে চিনতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সময় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এমন তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।
সূত্র বলছে ২০০৫ সালে পুলিশ কনস্টেবলে জামাত শিবিরের বিশেষ কোঠায় ভর্তি হন আতাহার আলী। আতাহারের পিতা মকবুল হোসেন ও ভাই আতাউর রহমান ২০০৪ সালে জামাতের গুরুত্বপূর্ণ পদ বহন করার সুবাদে আতাউরের একটি জামাতে শিবির নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসায় সহকারি মওলানা পদে নিয়োগ হয়।
আতাহারের নিজ গ্রাম দুর্গাপুরের চক কৃষ্ণপুর গ্রামের স্থানীয়রা জানান পুলিশের চাকরি পাওয়ার আগে আতাহারের পিতা মকবুল হোসেন ১২শ টাকা বেতনে মসজিদে চাকরি করতেন। ত্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বাস করতেন কবর স্থানের জায়গায়।
দুই বেলা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করা সেই আতাহার এখন অর্ধশত কোটি টাকার মালিক। নগদ টাকার বাহিরেও রয়েছে তার আরো অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। দুদকের অভিযোগ থেকে জানাযায় দুর্গাপুর বাজারে ভূমি অফিসের সামনে ক্রয় করেছেন ৮কাঠা জমি যার মূল্য কোটি টাকার উপরে।
দুর্গাপুর উপজেলার পাশে কোটি টাকার উপরে একটি বাড়ি ক্রয় করে এখন তার আত্নীয়কে দিয়েছেন। নিজ গ্রামে রাজকীয় ভাবে করেছেন তিনটি বাড়ি যে বাড়ি গুলো তৌরিতে প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে ৬০ লক্ষ টাকা করে খরচ করেছেন। একটি বাড়ি তার ভাইকে দিয়েছেন একটি বোনকে অপরটি সে নিজে মাঝে মধ্যে এসে থাকেন।নিজ এলাকায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে খনন করেছেন কয়েকটি পুকুর।
শুধু এখানেই থেমে নেই তার চেরাগের খেলা- ঢাকা রাজশাহী রুটে ঢাকার কোচ, ফারসি নামক ট্রাক, নিজস্ব দুটি প্রাইভেট কার, রাজধানীতে লোকাল বাস, যাত্রাবাড়িতে দুটি ফ্ল্যাট ক্রয়, আবাসিক হোটেল, সব কিছুই আলাউদ্দিনের চেরাগ দিয়ে বানিয়েছেন আতাহার আলী।
তবে কিছুদিন পূর্বে রাজশাহীতে একটি গণমাধ্যমে আতাহারের এমন সম্পদের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কারণে ঢাকা রাজশাহীর কোচ ও ফারসি নামক ট্রাক সরিয়ে ফেলেছেন। রাজশাহীর সেই গণমাধ্যম কর্মীকে প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন আতাহার আলী।
এই ঘটনায় সেই গণমাধ্যম কর্মী আতাহারের নামে একটি জিডি করেছেন। দুর্গাপুরের একজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান আতাহারের সম্পদ নিয়ে দুদকে অভিযোগ দেওয়ার কারনে রুস্তম নামের একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছিলেন আতাহার।সেই রাতেই রুস্তম আলী হার্ট স্ট্রোক করে মারাযান।
এই ঘটনা নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হলে পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক অংশকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে আওয়ামী লীগে নাম লেখান আতাহার পরিবার। পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে আতাহারের সম্পদের হিসেব নিয়ে তাকে আইনের আওতায় নিতে। রাজশাহী অঞ্চল জুড়ে রয়েছে আতাহারের নিজস্ব ক্যাডার বাহীনি যাদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়না।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বসেই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন অপরাধ জগত। আতাহারের বড় বোনের স্বামী পুলিশের এ এস আই কুদ্দুস জানান দুর্গাপুরে আতাহারের কালো অর্থ নিয়ে গণ স্বাক্ষর হচ্ছে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবারো জমা হবে।
আতাহারের এমন কালো অর্থ সরকার বিরোধী ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর পুঠিয়ার সংসদ পল্লী ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে অবগত করা হলে তিনি বলেন এমন বিষয় আমি পুর্বে অবগত হয়েছি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রীর একজন ঘনিষ্ঠজন বলেন সাবেক আইজিপি সাবেক সেনা প্রধান যেখানে সরকারের নিকট রেহাই পাচ্ছেনা সেখানে এমন ব্যক্তির রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকারকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি।
সম্পাদক
: মোঃ সোহেল
নির্বাহী
সম্পাদক : মোঃ নুরুন্নবী
বার্তা
সম্পাদক : মোঃ জহিরুল ইসলাম
ঠিকানাঃ
সেক্টর ১০,উওরা, ঢাকা ১২৩০
Email
: newsbangla029@gmail.com