(নিজস্ব প্রতিবেদক)
রাজধানী কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওতাধীন এলাকায় অলিতে গলিতে চলে মাদক কেনাবেচা। মাদকের এই ছড়াছড়ি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে একটি নাম ঘুরেফিরে বারবার আসতে থাকে। যার নামের প্রভাবেই নাকি এই এলাকায় ফেন্সিডিলের ব্যবসা চলে, ভয়াবহ এই মাদক ব্যবসায়ী আসগর আলীকে যেতে হয়েছে কারাগারে। স্বল্প সময় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আরো বেশি শক্তি নিয়ে এলাকায় মাদক কারবারি শুরু করে দেয় এমনটাই অভিমত পুরো এলাকার। স্বৈরাচার শাসক দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকালীন সময়ে তারই সাম্রাজ্য সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি করেছেন নিজের পেটাও বাহিনী। কিশোর গ্যাং বালুর ব্যবসায় চাঁদাবাজি এমন কোন কিছু নাই আসগরের নাম বারবার ঘুরে ফিরে আসেনি। আজগর আলী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ৭ নং ইউনিয়ন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওতাধীন এলাকায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রশাসনের চোখে শুরু দিয়ে দিব্যি ব্যবসা-বাণিজ্য সবই চালিয়ে যাচ্ছেন এই আসগর আলী। এমন কি তিনি নিজের সতীত্ব ব্যবসায়ীদের সাথেও প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন, মাত্র ১৫ বছর আগেও যে আসগরের সংসার ঠিকঠাক মতো চলতো না, সেই আজগরের বাড়িতে বাথরুম ছাড়া সব রুমে এখন এসি। মাদক ব্যবসার গডফাদার সে একজন। আমার নাম যদি আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশ করেন সে ক্ষেত্রে আমার বিপদ হতে পারে। এলাকার ছোট ছোট কমল মতি কিশোরদের হাতে সেই মাদক দেয়, একটা ছেলেকে বলে দিলেই আমাকে ঠাস করে একটা পোস্ট দিয়ে চলে যাবে। তার কিশোর গ্যাং অনেক শক্তিশালী কারণ কিশোরদের হাতে সেই মাদক তুলে দেয়।
আর এক ভুক্তভোগী বলেন, অল্প জায়গা তার নিজের, সে জায়গায় বালু ভরাট করতে যেয়ে আমার জায়গা ও ভরাট করে ফেলেছে এখন সেই জায়গা নাকি তার। অনেক জায়গায় গিয়েছি কোন কাজই হয় নাই। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আসগরের নামে ভূমি দখল থেকে শুরু করে ফেন্সিডিল ব্যবসা ও ইয়াবা ব্যবসার অনেক অভিযোগী আমাদের কাছে আছে। ইয়াবা ব্যবসার ক্ষেত্রে একবার পুলিশের সাথে আঁতাত সম্পর্ক করে রফাদফা করেছিল। তার যে লেখাটা হয়েছে। আমরা ধৈর্য সহকারে দেখছি প্রশাসন এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে। বানিয়েছে নিজের ক্ষমতার বাহার।
আরো এক অভিযোগকারী বলেন, তার সাথে আমি ভালো ব্যবসায় নেমেছিলাম, প্রায় সাত কোটি টাকার হিসাব না দিয়েই সে চলে গেছে। এখন আমি অসহায়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শাক্তা ইউনিয়ান ৭ নং ওয়ার্ড পুলিশ একবার হাতেনাতে ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করেন, কিন্তু আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময় আসগর কে ছেড়ে যান। ১৪৩ শতাংশ জায়গা দখল করে বালি ভরাট করে ফেলছে নানা কাজে বিভিন্ন অপকর্ম কান্ডে জর্জরিত আসগর। এ বিষয় জানতে দৈনিক মাতৃভূমির খবর অনুসন্ধান দল, আজগর আলীর সাথে দেখা করলে তার রাজনৈতিক পরিচয় ও অন্যান্য বিষয় কিছুটা স্বীকার করে নেন। তবে সরাসরি প্রশ্ন করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ সত্য নয় বলে অভিমত দেন।