তরিক শিবলী (নিজস্ব প্রতিনিধি)
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল উত্তরা সেন্টার সংলগ্ন, বউবাজার এলাকায় অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযানে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও পুলিশের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাসিক বলেন, এই জায়গাটিতে সন্ধ্যাকালীন সময় বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই জায়গাটিকে ছিনতাই কারীদের হটস্পট হিসেবেও বলা যেতে পারে।
তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুজ্জামান বলেন, এই এলাকায় অবৈধ স্থাপনা করে, পরিচালিত হত বিভিন্ন রকম মাদক কারবারের কাজ চলে। পূর্বে ব্যবসায়ীদের অনেকবার নোটিশ ও সতর্ক করা হয়। এই উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করি ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বউবাজার এলাকার জন্য বন্ধ হলো।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ শিকদার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এটি আমাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রম, পুরো উত্তরাতেই আমরা অভিযান পরিচালনা করব, অবৈধ স্থাপনা যেখানে যেখানে আছে আমরা সব উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি। আপনারা আমাদের পাশে থাকেন এবং সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য বউবাজার এলাকাটিতে ১১২টি খাবার ও চায়ের দোকান ছিল। এবং রাস্তার দুপাশে ১৪৩টি বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। বিকাল হলেই এই এলাকায় তরুণ তরুণী ও সাধারণ মানুষের ভিড় হতো। হাঁসের মাংস, চাপাতি, বিভিন্ন রকমের ভর্তা, মটকা চা এর জন্য অত্র এলাকাটি জনপ্রিয় ছিল। শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রকম খেলা বউবাজার মাঠে পরিচালিত হত। যার অন্তরালে নিয়মিত জুয়া, ছিনতাই ও নেশাগ্রস্থ লোকদের আনাগোনা হতো।
অবৈধ স্থাপনা হওয়ার পরেও প্রতি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় করতো। এই উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার চাঁদা আদায়ের অবসান ঘটলো। উত্তরা বউবাজার ও মেট্রোরেল এলাকাবাসীর এই অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন এলাকাটি আবার মানুষের বাসযোগ্য হয়ে উঠলো।