মোঃ রাজু মিয়া সোহাগ (নীলফামারী প্রতিনিধি)
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার দুই নং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের টানা ৩০ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন সাইফুল ইসলাম মুকুল।
১৯শে আগস্ট রোজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় সাইফুল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা তুলে ধরে তার অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবক বৃন্দ এবং এলাকার জনগন উপস্থিত থেকে মানববন্ধনটি সফল করেন। মানববন্ধনে বলা হয় সাইফুল ইসলাম মুকুল টানা ৩০ বছর ধরে নেকবক্ত দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কিভাবে দায়িত্ব পালন করেন আমরা জানতে চাই।
তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম ও অনিয়ম এই প্রতিষ্ঠানে করে থাকেন। শুধু তাই না যেটা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ সেটা তিনি স্কুল থেকে পরিচালনা করে আসতেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু ছাত্র বলেন এই লোকটি হচ্ছে সুবিধাবাদী যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের হয়ে তিনি কাজ করেন। এবার আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না, তাকে চিহ্নিত করে ফেলেছেন ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন বাসি। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ২ নং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে পদপ্রার্থী হয়েছিলেন, বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
পরে মানববন্ধন থেকে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত নেকবক্ত বাজার এলাকা। এক দফা এক দাবি মুকুল চেয়ারম্যানের অপসারণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবং ওই মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি। দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ ভূমিদস্যুর এখনই সরিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নতুন করে সভাপতি নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে লেখাপড়ার মানকে এগিয়ে নিতে হবে। এতদিন শিক্ষকরা সাইফুল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় করেছিলেন। কিন্তু আজকে শিক্ষকরা প্রাণ খুলে বক্তব্য দেন বলেন কিভাবে একজন মানুষ ৩০ বছর ধরে সভাপতি থাকেন, আমরাও জানতে চাই প্রশাসনের কাছে আমাদের এই দাবি মুকুল চেয়ারম্যানকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। নয়তো ছাত্র-জনতা কখন কি ঘটনা ঘটায় বলা বড় মুশকিল। তাকে অপসারণ করলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে বলে দাবি করেন ছাত্র জনতা।